ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের উন্নয়ন কাজের অজুহাতে দরিদ্র পরিবারের বাগান বেদখলের আশঙ্কা

েোাাাাাএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে চলতি সনের প্রায় ২২ কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ চলছে। এ উন্নয়ন মুলক কাজে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করা কালে ওই এলাকার দুই একরের একটি ফলজ বাগান বাউন্ডারীর আওতায় নিয়ে গেলে বাগানের মালিক নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে ডুলাহাজারা ডাক বাংলো পাড়া (সাফারী পার্ক) এলাকার বাসিন্দা মৃত মকবুল আহমদের পুত্র বৃদ্ধ সাহাব উদ্দিন মাঝি জানান, সাফারী পার্কের ১ম কাজ শুরু করাকালীন থেকে সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ তাকে পার্কের বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দেন। কাজের সন্তোষজনক কারনে তৎকালিন দায়িত্বে নিয়োজিত চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিএফও বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত তপন কুমার দে ও সাফারী পার্কে তৎকালিন দায়িত্বরত রেঞ্জার বাহাদুর আলী আবুল কালাম সাফারী পার্কের পশ্চিমে থাকা মগছড়া জুমের পূর্ব পাশে থাকা পরিত্যাক্ত ২ একর টিলা জায়গায় ফলজ বাগান করে পরিবারের অভাব গোছানের জন্য তাকে মৌখিকভাবে হস্তান্তর করে। নির্দেশ পেয়ে গরীব অসহায় সাহাব উদ্দিন মাঝি বিভিন্ন এন,জিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যায়ে ঐ ¯’ানে আম, কাঠাল, জলপাই, জামসহ বিভিন্ন শ্রেণীর ফলজ বাগান গড়ে তুলে। ২০০১ সাল থেকে অদ্যাবধি উক্ত বাগানে তার প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে উক্ত বাগানে ফল ধরা শুরু করে। এতে সাহাব উদ্দিন মাঝির মুখে হাসি ফুটে। এ অব¯’ায় সাফারী পার্কের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২২ কোটি টাকার কাজ শুরু করে। পার্কের পশ্চিম পাশে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করার জন্য বেইস ডালাই করার উদ্দ্যোশে মাটি খননের কাজ শুরু করেছে। বেইস ডালাইয়ের জন্য তাকে দেয়া উক্ত বাগানের পশ্চিম পাশে মাটি খননের কাজ শুরু করেছেন। এ অবস্থা দেখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছে। ১৫ লাখ টাকা ব্যায়ে করা তার বাগানটি বাউন্ডারী ওয়ালের বাইরে না রাখলে তার লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হবে। এতে তার মাথায় পড়বে হাত। এমনকি ঋণের দায়ে দেশ ছাড়ারও উপক্রম হবে। বাগানটি বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতরের আওতায় না নিয়ে বাইরে রাখার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছে। এ ব্যাপারে বৃদ্ধ সাহাব উদ্দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

পাঠকের মতামত: